4 Kul Sura & Ayatul Kursi | চার কুল সূরা ও আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত
চার কুল সূরা পবিত্র কোরানের গুরুত্বপূর্ণ ৪ টি সূরা যার ফজিলতও
অপরিসীম। আয়াতুল কুরছিকে কোরানের আয়াত গুলোর সরদারও বলা হয় যার ফজিলত অনেক বিস্তৃত।
নিচে চার কুর ও আয়াতুল কুরসির সেই সকল গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও আরবি বাংলা অর্থসহ দেওয়া
হলোঃ
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুল (সা.) প্রতি রাতে যখন বিছানায় আসতেন, তখন দুই তালুকে একত্র করতেন। তারপর তাতে ফুঁ দিয়ে— ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ এবং ‘কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক’ ও ‘কুল আউজু বিরাব্বিন নাস’ পড়তেন। তারপর শরীরের যতটুকু অংশ সম্ভব মুছে দিতেন। শুরু করতেন মাথা ও চেহারা ও শরীরের সামনের অংশ থেকে। এভাবে তিনবার করতেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৪৮৫৩; সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)
প্রথম কুল সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ ও ফজিলত
প্রথম কুল সূরা নাস এর বাংলা উচ্চারণঃ
১) কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ,।
২) মালিকিন্না-ছ,।
৩) ইলা-হিন্না-ছ।
৪) মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ।
৫) আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-।
৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
প্রথম কুল সূরা নাস এর অর্থঃ
১)বল, ‘আমি আশ্রয় চাই মানুষের রব। ২) মানুষের অধিপতি। ৩) মানুষের
ইলাহ-এর কাছে। ৪) কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, যে দ্রুত আত্মগোপন করে। ৫) যে মানুষের
মনে কুমন্ত্রণা দেয়। ৬) জিন ও মানুষ থেকে।
ফজিলত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন বিপদাপদ থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থণা করার জন্য সূরা ফালাক ও নাস এর ন্যায় আর কোন সূরা পবিত্র কুরআনে নেই। (আবু দাউদ- ১৪৬৩)
হাদিস শরীফে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
চার কুল সম্পর্কে অনেক ফযিলত বর্ণনা করেছেন।
দ্বিতীয় কুল সূরা আল ফালাক বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ।
দ্বিতীয় কুল সূরা আল ফালাক এর বাংলা উচ্চারণ।
১) কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক।
২) মিন শাররি মা-খালাক।
৩) ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব।
৪) ওয়া মিন শাররিন-নাফফাসাতি ফিল-উকাদ।
৫) ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।
দ্বিতীয় কুল সূরা আল ফালাক এর অর্থ।
১) বল, ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে, ২) তিনি যা
সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, ৩) আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়,
৪) আর গিরায় ফুঁ - দানকারী নারীদের অনিষ্ঠ থেকে। ৫) আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে
হিংসা করে’।
ফজিলত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
সূরা ফালাক ও নাস এই সূরা দুইটি তুলনাহীন। তিনি প্রত্যেক নামাজের শেষে সূরা ফালাক ও
নাস পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। (তিরমিযী– ২৯০২ ও ২৯০৩)
তৃতীয় কুল সূরা এখলাস বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ।
তৃতীয় কুল সূরা এখলাসের বাংলা উচ্চারণ।
১) কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ।
২) আল্লা-হুসসামাদ।
৩) লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ।
৪) ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ।
তৃতীয় কুল সূরা এখলাসের
অর্থ।
১) বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। ২) আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী
নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। ৩) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। ৪)
আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।
ফজিলত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা ইখলাছ ১০ বার পাঠ করবে, আল্লাহ সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে এক মহল নির্মাণ করবেন। (মুসনাদে আহমদ)
চতুর্থ কুল সূরা কাফিরুন বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ।
চতুর্থ কুল সূরা কাফিরুন এর বাংলা উচ্চারণ।
১) কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন।
২) লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন।
৩) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
৪) ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম।
৫) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
৬) লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।
চতুর্থ কুল সূরা কাফিরুন এর অর্থ।
১) বল, ‘হে কাফিররা, ২) তোমরা যার ‘ইবাদাত কর আমি তার ‘ইবাদাত
করি না’। ৩) এবং আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী নও’। ৪) ‘আর তোমরা যার
‘ইবাদত করছ আমি তার ‘ইবাদাতকারী হব না’। ৫) ‘আর আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী
হবে না’। ৬) ‘তোমাদের জন্য তোমাদের দীন আর আমার জন্য আমার দীন।’
ফজিলত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি একবার সূরা কাফিরূন পড়বে তার জন্য এক চতুর্থাংশ কুরআনের সাওয়াব লেখা হবে। (তিরমিযী- ২৮৯৩)
আয়াতুল কুরসী বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ ও ফজিলত pdf download
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ।
আল্লাহু লা — -ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূম,
লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম,
লাহু মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্ব,
মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদা — -হূ ইল্লা বিইযনিহ,
ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খলফাহুম,
ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমি — -হী ইল্লা বিমা শা — —
আ,
ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব,
ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা,
ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযী-ম ।
আয়াতুল কুরসি অর্থ।
আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক।
তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে,
সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা
পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত
করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত
করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা
মহান।
ফজিলত: আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত নবি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ‘আয়াতুল কুরসি’ পাঠ করবে, সে ব্যক্তির জন্য তার মৃত্যু ছাড়া আর অন্য কিছু জান্নাত প্রবেশের পথে বাধা হবে না।
(নাসাঈ কুবরা ৯৯২৮)। উবাই ইবনু কা’ব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি
সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি আবার বলেন,
হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম,
‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম’ (আয়াতুল কুরসি)। তখন তিনি আমার
বুকে (হালকা) আঘাত করে বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক। (সুনানে আবু
দাউদ-১৪৬০)।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেন, প্রতিটি বস্তুরই চূড়া আছে। কুরআনের উঁচু চূড়া হলো সূরা আল-বাকারা। এতে এমন
একটি আয়াত আছে যা কুরআনের আয়াতগুলোর প্রধান। তা হলো আয়াতুল কুরসি। (জামে আত-তিরমিজি-২৮৭৮)।
আবু লায়লা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নবি (সা.)-এর নিকট
বসে থাকা অবস্থায় এক বেদুইন তাঁর কাছে এসে বলল, আমার এক অসুস্থ ভাই আছে। তিনি বলেন,
তোমার ভাই কী রোগে আক্রান্ত? সে বলল, (কোনো কিছুর) কুপ্রভাব। তিনি বলেন, তুমি যাও এবং
তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো। আবু লায়লা (রা.) বলেন, সে গিয়ে তার ভাইকে নিয়ে এলে তিনি তাকে
নিজের সামনে বসান। আমি শুনতে পেলাম, তিনি সূরা ফাতিহা, সূরা বাকারার প্রথম চার আয়াত
মধ্যখানের দুই আয়াত (১৬৩-১৬৪ নং আয়াত), আয়াতুল কুরসি (২৫৫ নং আয়াত) এবং বাকারার শেষ
তিন আয়াত (২৮৪-২৮৬ আয়াত) এবং আল ইমরানের একটি আয়াত, আমার মনে হয় তিনি ১৮নং আয়াত পড়েছিলেন
এবং সূরা আরাফের এক আয়াত (৫৪ নং আয়াত), সূরা মুমিনুনের এক আয়াত (১১৭নং আয়াত), সূরা
জিন-এর এক আয়াত (৩নং আয়াত), সুরা সাফ্ফাত-এর প্রথম দশ আয়াত, সুরা হাশরের শেষ তিন (২২,
২৩ ও ২৪) আয়াত, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তাকে ফুঁ দিলেন। তাতে বেদুইন
এমনভাবে সুস্থ হয়ে দাঁড়াল যে, তার কোনো রোগই অবশিষ্ট নেই (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৫৪৯)।
Keywords:
4 kul ayatul kursi bangla, 4 kul benefits, 4 qul Arabic, 4 kul sura quran, 4 kul bangla ortho, 4 kul surar fojilot, sura nas bangla, sura falak bangla, sura ikhlas bangla, sura kafirun bangla, ayatul kurci fojilot bangla, ayatul kursi pic, 4 kul pic, 4 kul fojilot bangla, Benefits of 4 kul, ৪ কুল বাংলা উচ্চারণ, ৪ কুল এর ফজিলত, চার কুল ও আয়াতুল কুরসি ফজিলত, ৪ কুল সূরা, চার কুল পড়ার নিয়ম, আয়াতুল কুরসি ও তিন কুল পাঠের গুরুত্ব, চার কুল তেলাওয়াত, ৪ কুল এর ফজিলত, তিন কুল সূরা বাংলা উচ্চারণ, বাচ্চাদের ঝাড়ার দোয়া, বাচ্চাদের বদনজরের দোয়া, শিশুদের হেফাজতের দোয়া, বাচ্চা অসুস্থ হলে দোয়া, ভয় পেলে কি দোয়া পড়তে হয়, বাচ্চাদের নজর লাগলে কি করতে হয় গায়ে ফু দেওয়ার দোয়া অসুস্থ হলে কি দোয়া করতে হয় ঘুমের আগে চার 'কুল' পড়ার ফজিলতব সূরা নাস সূরা ফালাক সূরা ইখলাস সূরা কাফিরুন আয়াতুল কুরসি একসাথে