আয়াতুল কুরসি ও ফজিলত | Ayatul Kurci HD Image Download
Download HD Image Click Here
হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি (Ayatul Kurci) পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অন্তরায় থাকে না। -শুআবুল ঈমান : ২৩৯৫
উবাই
বিন কাব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমার দৃষ্টিতে কোরআন মাজিদের কোন আয়াতটি সর্ব শ্রেষ্ঠ? তিনি বলেছিলেন, আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল হাইয়্যুল কাইয়্যুম তথা আয়াতুল কুরসি। তারপর
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজ হাত দিয়ে তাঁর বুকে মৃদু আঘাত করে বলেন, আবুল মুনজির! এই জ্ঞানের কারণে তোমাকে মোবারকবাদ। (মুসলিম, হাদিস
: ১৩৯৬)
আয়াতুল কুরসির ফজিলত
আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না। [সহীহ আল্ জামে :৬৪৬৪]
শয়নকালে পাঠ
করলে
সকাল
পর্যন্ত তার
হেফাজতের জন্য
একজন
ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে।
যাতে
শয়তান
তার
নিকটবর্তী হতে
না
পারে।
(বুখারি)
হযরত
আবু
হুরাইরা থেকে
বর্ণিত:
রাসুল
(সা.)
বলেছেন:
সুরা
বাকারায় একটি
শ্রেষ্ঠ আয়াত
রয়েছে,
যে
ঘরে
আয়াতুল কুরসী
পাঠ
করা
হবে
সেখান
থেকে
শয়তান
পালাতে
থাকে।
[মুস্তাদরাকে হাকিম:২১০৩]
আবূ হুরাইরাহ (রাযিয়াল্লা-হু
‘আনহু)
বলেছেন,
রাসূলে
কারীম
(সা.)
ইরশাদ
করেছেন,
সূরা
আল
বাক্বারায় এমন
একটি
আয়াত
রয়েছে
যা
কুরআনের অন্য
সব
আয়াতের
সর্দার
বা
নেতা।
সে
আয়াতটি
যে
ঘরে
পড়া
হয়,
তা
থেকে
শয়তান
বেরিয়ে
যায়।
[তাফসীর
মা’
আরেফুল
কুরআন-১ম খণ্ড, পৃ:
৬৭৬]
সকাল-সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি (Ayatul Kurci) পাঠের ফজিলত
উবাই ইবনে কা’ব (রা.) থেকে বর্ণিত, তার একটি খেজুর শুকানোর জায়গা ছিল। তাতে খেজুর হ্রাস পেত। এক রাতে তিনি পাহারায় রইলেন। হঠাৎ তিনি কিশোরের মতো এক প্রাণী দেখতে পেলেন। সে তাকে সালাম দিল। তিনি সালামের জবাব দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কোন জাতির? জিন না মানব? সে বলল, জিন। তিনি বললেন, তোমার হাত দাও তো দেখি। সে হাত বাড়িয়ে দিল। দেখা গেল, তার হাত ও পশম কুকুরের হাত ও পশমের মতো। সে বলল, এটা জিনের গঠন। সে আরও বলল, জিনরা জানে, তাদের মধ্যে আমার চেয়ে শক্তিশালী আর কোনো পুরুষ নেই।
তিনি বললেন, কী উদ্দেশ্যে এসেছ? সে বলল, আমি জানতে পেরেছি, আপনি সদকা করতে পছন্দ করেন। তাই আপনার খাদ্যবস্তু (খেজুর) থেকে নিতে এসেছি। তিনি বললেন, তোমাদের (অনিষ্ট) থেকে আত্মরক্ষার উপায় কী? সে বলল, সুরা বাকারার এই (আয়াতুল কুরসি) আয়াতটি। যে তা সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত আমাদের (অনিষ্ট) থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবে। আর যে সকালে পড়বে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের (অনিষ্ট) থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবে। সকালে তিনি রাসুল (সা.) এর কাছে এসে বিষয়টি জানালেন। নবী রাসুল (সা.) বললেন, খবিস সত্য বলেছে।
(ইবনে
হিব্বান : ৭৮৪;
মুসতাদরাকে হাকেম,
হাদিস
: ২০৬৪)।